আগরতলামুখী লংমার্চ কর্মসূচি ডেকেছে বিএনপির তিন অঙ্গ সংগঠন
সোমবার (৯ ডিসেম্বর) সকালে নয়া পল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিন সংগঠনের পক্ষে জাতীয়তাবাদী যুব দলের সভাপতি এম মোনায়েম মুন্না এই কর্মসূচি ঘোষণা করেন।
তিনি বলেন, ‘ভারতীয় আগ্রাসন ও বাংলাদেশের বিরুদ্ধে মিথ্যা তথ্য সন্ত্রাসের প্রতিবাদে আগামী ১১ ডিসেম্বর বুধবার ঢাকা থেকে আগরতলা অভিমুখে আখাউড়া সীমান্ত পর্যন্ত আমরা লং মার্চের কর্মসূচি ঘোষণা করছি। সকাল ৮টায় নয়া পল্টনে জমায়েত হয়ে এখান থেকে আমরা আমাদের শান্তিপূর্ণ লং মার্চ শুরু করবো এবং আগরতলা অভিমুখে আখাউড়া সীমান্ত পর্যন্ত যাবো।’
তিন সংগঠনের নেতাকর্মীদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে মুন্না বলেন, ‘আমি বাংলাদেশের সর্বস্তরের ছাত্র-যুবক-স্বেচ্ছাসেবক নেতা-কর্মীদের এই লং মার্চে অংশগ্রহণের আহ্বান জানাচ্ছি।’
গত কর্মসূচিতে মিডিয়ার সহযোগিতার জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে লং মার্চ কর্মসূচিতে সর্বাত্মক সহযোগিতা চান তিনি।
রবিবার (৮ ডিসেম্বর) এই তিন সংগঠন ঢাকার বারিধারায় ভারতীয় দূতাবাস অভিমুখে প্রতিবাদী পদযাত্রা কর্মসূচি করে। রামপুরা ব্রিজের কাছে হাজার হাজার নেতা-কর্মীর পদযাত্রা পুলিশ আটকে দিলে তিন সংগঠনের নেতারা বারিধারায় ভারতীয় দূতাবাসে গিয়ে স্মারকলিপি দেন।
এম মোনায়েম মুন্না বলেন, ‘আমরা তিন সংগঠন গতকাল রবিবার ভারতীয় হাইকমিশনের অভিমুখে প্রতিবাদী পদযাত্রা করে স্মারকলিপি দিয়েছি। ভারতে বাংলাদেশের দূতাবাসে হামলা, আমাদের জাতীয় পতাকা অবমাননা, ভারতের মিডিয়ার বাংলাদেশের বিরুদ্ধে চলমান তথ্য সন্ত্রাস এবং বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে অযাচিত হস্তক্ষেপ থেকে বিরত থাকার দাবিতে আমরা ভারতীয় হাইকমিশনে স্মারকলিপি দিয়েছি।’
তিনি বলেন, ‘শেখ হাসিনার পতনের পরে ভারত কাল্পনিক এবং ভিত্তিহীন সংখ্যালঘু নির্যাতনের প্রপাগান্ডা ছড়িয়ে বাংলাদেশের জনগণের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে। শেখ হাসিনাকে ভারতের মাটি ব্যবহার করে বাংলাদেশের ছাত্র-জনতার সরকারকে বিব্রত করার সুযোগ দিয়েছে। বহিষ্কৃত ইসকন নেতা বাংলাদেশের নাগরিক চিন্ময় দাসের গ্রেফতার, তদন্ত ও বিচার সম্পূর্ণ করা বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়। কিন্তু ভারতের বিভিন্ন পর্যায় থেকে বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে অযাচিত মন্তব্য করে বিশৃঙ্খল পরিবেশ সৃষ্টির চেষ্টা করা হচ্ছে।’ ভারতীয় প্রচার মাধ্যমে বাংলাদেশ সম্পর্কে মিথ্য অপপ্রচারের নিন্দাও জানান তিনি।
সংবাদ সম্মেলনে স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি এসএম জিলানি, সাধারণ সম্পাদক রাজীব আহসান, যুবদলের সাধারণ সম্পাদক নুরুল ইসলাম নয়ন, সিনিয়র সহ-সভাপতি রেজাউল করিম পল, সাংগঠনিক সম্পাদক নাজমুল আহসান, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বিল্লাহ হোসেন তারেক, সাংগঠনিক সম্পাদক কামরুজ্জামান জুয়েল, ছাত্রদলের সভাপতি রাকিবুল ইসলাম রাকিব প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।