মুখস্থ শিক্ষাকে মেধা বলে চালানো যাবে না: শিক্ষামন্ত্রী !
মোঃ শফিক :
শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী বলেছেন, মুখস্থনির্ভর শিক্ষা ও স্মরণশক্তিকে মেধা বলার মানসিকতা ত্যাগ করতে হবে।তিনি বলেন, বর্তমান পাঠ্যক্রমে পাঠদান পদ্ধতি ভিন্ন। এই পদ্ধতি প্রচলিত শিক্ষার ধারণা থেকে সম্পূর্ণ ভিন্ন। এটা হল অভিজ্ঞতামূলক শিক্ষা। গতানুগতিক শিক্ষাকে যেভাবে দেখা হয় যে, শুধু কিছু তথ্য আমরা মুখস্থ করবো, মানে মেমোরি ড্রাইভেন প্রসেস। সেখান থেকে বের হতে হবে। মুখস্থনির্ভর শিক্ষা ও স্মরণশক্তিকে মেধা বলে চালিয়ে দেওয়ার মানসিকতা থেকে বের হয়ে আসতে হবে। তাহলেই আমরা স্মার্ট প্রজন্ম গড়ে তুলতে পারবো।’ রাজধানীর একটি হোটেলে ‘লার্নিং এক্সিলারেশন ইন সেকেন্ডারি এডুকেশন প্রজেক্ট’র উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে শিক্ষামন্ত্রী এ ঘোষণা দেন। বিশ্বব্যাংকের সহায়তায় মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি) প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করছে। মহিবুল হাসান চৌধুরী বলেন, আমাদের শিক্ষা হবে জ্ঞান, মূল্যবোধ ও দক্ষতা নিয়ে। সাম্প্রদায়িকতা, সমতা, জাতীয়তাবাদ, কর্মমুখী শিক্ষা ও দক্ষতা নিশ্চিত করতে হবে। জ্ঞান দেওয়ার পরিবর্তে শিক্ষকদের প্রশিক্ষণ দিতে হবে, মূল্যবোধের জায়গায়ও প্রশিক্ষণ দিতে হবে। এক্সেস ও ইকুইটি (সমতা) নিশ্চিত করতে হবে।’ তিনি বলেন: প্রক্রিয়াগত কারণে বা অর্থের অভাবে কোনো শিক্ষার্থী যেন ঝরে না পড়ে সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, ‘শিক্ষার্থীদের বিশাল একটি অংশ যদি খুব কম বয়সে ঝরে পড়ে, তাহলে তো আমরা স্মার্ট প্রজন্ম তৈরি করতে পারবো না। অর্থের অভাবে শিক্ষার্থীদের ঝরে পড়া রোধ করতে প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষা সহায়তা ট্রাস্টের মাধ্যমে বৃত্তি দেওয়া হয়। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপ-পরিচালক বেগম শামসুন নাহার। তিনি বলেন, এই প্রকল্পটি মাধ্যমিক শিক্ষার উন্নয়ন, শিক্ষার্থী ধরে রাখা এবং শিক্ষকদের মান উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত ও সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়তে সকল নাগরিককে আন্তরিকভাবে কাজ করারও আহ্বান জানান উপমন্ত্রী।