প্রায় আধা ঘণ্টা বৈঠকের সময়ে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে প্রতিবাদপত্র রাষ্ট্রদূতকে হস্তান্তর করা হয় বলে জানা গেছে।
আগরতলায় বাংলাদেশের সহকারী হাইকমিশন প্রাঙ্গণে সোমবার (২ ডিসেম্বর) বিকালে আগরতলার হিন্দু সংঘর্ষ সমিতির বিক্ষোভকারীদের একটি বড় দল সহিংস বিক্ষোভ ও হামলা করে। এর পরপরই গতকাল পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, প্রাপ্ত বিবরণগুলো চূড়ান্তভাবে প্রমাণ করে যে পূর্বপরিকল্পিতভাবে বাংলাদেশ সহকারী হাইকমিশনের প্রধান ফটক ভেঙে বিক্ষোভকারীদের প্রাঙ্গণে আক্রমণ করার সম্মতি দেওয়া হয়েছিল। এই প্রক্রিয়ায়, স্থানীয় আইন প্রয়োগকারী সংস্থার সদস্যদের উপস্থিতিতে, তারা জাতীয় পতাকার খুঁটি ভাঙচুর করে, বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা অবমাননা করে এবং সহকারী হাইকমিশনের অভ্যন্তরে সম্পত্তিরও ক্ষতি করে। দুঃখজনকভাবে, প্রাঙ্গণ রক্ষার দায়িত্বে থাকা স্থানীয় পুলিশ সদস্যদের শুরু থেকেই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সক্রিয় না থাকতে দেখা গেছে।
বৈঠকের পরে ভারতের রাষ্ট্রদূত জানান যে আমাদের মধ্যে বিস্তৃত সম্পর্ক, বহুমুখী সম্পর্ক রয়েছে। আমরা একটি বিষয় বা এজেন্ডা নিয়ে বসে থাকতে পারি না।
আমরা বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সঙ্গে যুক্ত হতে ইচ্ছুক এবং শান্তি, নিরাপত্তা ও উন্নয়নের জন্য আমাদের অভিন্ন আকাঙ্ক্ষা পূরণে বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে কাজ করতে আগ্রহী বলে তিনি জানান।