মঙ্গলবার (১২ নভেম্বর) বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র হুসনে আরা শিখা সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, আইএমএফের বিপিএম-৬ পদ্ধতি অনুসরণ করে রিজার্ভের বর্তমান পরিমাণ ১৮ দশমিক ১৯ বিলিয়ন ডলার।
টানা তিন মাসে রেমিট্যান্সে ৬ বিলিয়ন এবং রফতানিতে ১০ বিলিয়ন ডলার আয় হয়। তাছাড়া আমদানি এলসি খোলার চাপ কম থাকায় ব্যাংকগুলোর কাছে পর্যাপ্ত ডলার মজুত ছিল। নির্ধারিত সীমার চেয়ে বেশি ডলার থাকায় তা কিনে নেয় কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এতে বৈদেশিক রিজার্ভ বেড়েছে। আবার বিদেশি ঋণ এলেও তা রিজার্ভে যুক্ত হয়।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, প্রবাসী আয় ও রফতানির ওপর ভর করে গত ৭ নভেম্বর রিজার্ভের পরিমাণ পৌঁছেছিল ২০ বিলিয়ন ডলারে। এর আগে গত ৮ সেপ্টেম্বরে জুলাই-আগস্টে আকুর বিল বাবদ ১ দশমিক ৩৬ বিলিয়ন ডলার শোধ করা হয়েছিল। সে সময় বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ দাঁড়ায় ১৯ দশমিক ৪৪ বিলিয়ন ডলারে।
প্রসঙ্গত, বাংলাদেশ ব্যাংক রিজার্ভের তিন ধরনের পরিসংখ্যান সংরক্ষণ করে থাকে। একটি মোট রিজার্ভ, যা বিভিন্ন তহবিল নিয়ে গঠিত। দ্বিতীয়টি আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) হিসাব অনুযায়ী রিজার্ভ এবং তৃতীয়ত ব্যবহারযোগ্য রিজার্ভ।
এর আগে ৮ সেপ্টেম্বরে রাতে জুলাই-আগস্টের আকুর বিল বাবদ ১ দশমিক ৩৬ বিলিয়ন ডলার বিল সমন্বয় করা হয়েছিল।
দেশের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ৪৮ বিলিয়ন ডলারের ঘর অতিক্রম করে ২০২১ সালের আগস্টে। তবে করোনা পরবর্তী অর্থনীতিতে বাড়তি চাহিদা এবং রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে রিজার্ভ থেকে ডলার বিক্রি, বৈদেশিক ঋণ ও বিনিয়োগ কমে যাওয়া এবং আগের দায় পরিশোধ বেড়েছে।