বৈষম্যমূলক ড্যাপ বাস্তবায়ন স্থগিত করে প্রয়োজনীয় সংস্কার চান স্থপতিরা
পঙ্ক্তি ডেস্কঃ
বৈষম্যমূলক ড্যাপ বাস্তবায়ন স্থগিত করে সংস্কারের প্রয়োজনীয় কার্যক্রম গ্রহণের দাবি জানিয়েছেন স্থপতিরা। অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি ড্যাপ স্থগিতকরণের দাবি জানিয়ে জনস্বার্থে উদ্যোগ নেয়ার দাবি জানিয়ে সংবাদ সম্মেলন করেছেন তারা। সোমবার জাতীয় প্রেস ক্লাবে বাংলাদেশ স্থপতি ইন্স্টিটিউট (বাস্থই) আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তারা এ দাবি জানান। বাস্থই সাধারণ সম্পাদক স্থপতি নবী নেওয়াজ খানের উপস্থাপনায় অনুষ্ঠানে কি নোট পাঠ করেন সংগঠনের সহ-সভাপতি (জাতীয় বিষয়াদি) স্থপতি মো. আলী নকী। পরে বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন বাস্থই সভাপতি স্থপতি প্রফেসর ড. খন্দকার সাব্বির আহমেদ।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন সহ-সভাপতি (আন্তর্জাতিক সম্পর্ক) স্থপতি খান মো. মাহফুজুল হক জগলুল, সম্পাদক (পেশা) স্থপতি মো. নাজমুল হক বুলবুল, সম্পাদক (সেমিনার ও কনভেনশন) স্থপতি সাবরিনা আফতাব, সম্পাদক (পরিবেশ ও নগরায়ন) স্থপতি সুজাউল ইসলাম খান এবং বাস্থই ড্যাপ কমিটি সদস্য স্থপতি আমিনুল ইসলাম ইমন।
সংবাদ সম্মেলনে তারা বলেন, বিশদ অঞ্চল পরিকল্পনা (২০২২-৩৫) ড্যাপ বাস্তবায়ন স্থগিত করে এর আইনি এবং অন্যান্য অসঙ্গতি দূর করার জন্য সংশ্লিষ্ট অংশীজনদের সক্রিয় অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে হবে। একই সাথে সংস্কারের জন্য অবিলম্বে প্রয়োজনীয় কার্যক্রম গ্রহণ করার দাবি জানান তাদের। বাস্থইসহ অন্যান্য পেশাজীবী সংগঠন এই পরিকল্পনা প্রণয়নের প্রক্রিয়া নগর পরিকল্পনা সংক্রান্ত দেশের প্রচলিত আইনের সাথে সাংঘর্ষিক বলে আসছেন। ইতিপূর্বে ঢাকা মহানগরীর পরিকল্পনা প্রণয়নের প্রথম পর্যায়ে প্রস্তাবিত নগর অঞ্চলের ‘কাঠামো পরিকল্পনা’ গ্যাজেটের মাধ্যমে অনুমোদন করার পর নগরের বিভিন্ন এলাকার জন্য ‘আর্বান এরিয়া প্ল্যান’ এবং পরিশেষে ‘ডিটেইল এরিয়া প্ল্যান’ গ্যাজেটের মাধ্যমে অনুমোদন করা হয়। ড্যাপ (২০২২-৩৫) প্রণয়নের পূর্বে ‘ঢাকা কাঠামো পরিকল্পনা’ ২০১৬ সালে প্রণয়ন করা হলেও তা গ্যাজেটভুক্ত না করে আইনি ব্যত্যয় ঘটিয়ে দীর্ঘ সময় ক্ষেপণ করে ২০২২ সালে এই বিশদ অঞ্চল পরিকল্পনা (২০২২-৩৫) গ্যাজেট করা হয়। কাজেই এই বিশদ অঞ্চল পরিকল্পনা (২০২২-৩৫) বেআইনি প্রক্রিয়ায় প্রণীত হয়েছে।