‘কানেক্টিভিটি’র মর্ম বিএনপি বোঝে না : পররাষ্ট্রমন্ত্রী

‘কানেক্টিভিটি’র মর্ম বিএনপি বোঝে না : পররাষ্ট্রমন্ত্রী

পঙ্​ক্তি ডেস্ক:

পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, যে বিএনপির নেত্রী বলেছিলেন সাবমেরিন ক্যাবলে যুক্ত হলে দেশের সার্বভৌমত্ব নষ্ট হবে, সেই বিএনপি কানেক্টিভিটি’র মর্ম বোঝার কথা নয়।শুক্রবার বিকেলে নীলফামারীর সৈয়দপুরে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের রংপুর বিভাগীয় বর্ধিত সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। ভারতের সাথে কানেক্টিভিটি ও সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর নিয়ে বিএনপির সমালোচনাকে অবান্তর বর্ণনা করে হাছান মাহমুদ বলেন, ইউরোপে কোনো সীমান্ত চৌকি নেই। সেখানে কি দেশগুলোর সার্বভৌমত্ব নষ্ট হয়ে গেছে? ভারতের ওপর দিয়ে আমরা নেপাল থেকে জলবিদ্যুৎ আমদানি করছি, এতে কি ভারতের সার্বভৌমত্ব নষ্ট হয়ে গেছে? আমরা কানেক্টিভিটি বাড়ানোর জন্য ভারতের সাথে বিভিন্ন সমঝোতা করেছি। নেপালের সাথেও কানেক্টিভিটি হবে।দক্ষিণ এশিয়ার অন্যান্য দেশের সাথেও অর্থাৎ আমরা ‘রিজিওনাল কানেক্টিভিটি’র  বাড়ানোর মাধ্যমে এ অঞ্চলের মানুষের অর্থনৈতিক উন্নয়নের পরিকল্পনা নিয়ে কাজ করছি, এই কানেক্টিভিটির মর্ম বিএনপি বোঝে না, বোঝার কথাও নয়, বলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী। দলের নেতা-কর্মীদের উদ্দেশ্যে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান বলেন,
বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ আজকে বিশ্বের বুকে একটি মর্যাদাশীল রাষ্ট্র হিসেবে প্রতিষ্ঠিত। আমদের মূল শক্তি হচ্ছে দলের তৃণমূলের নেতা-কর্মীরা ও জননেত্রী শেখ হাসিনা। জননেত্রী শেখ হাসিনার দূরদৃষ্টি, সাহসিকতা, সিদ্ধান্ত গ্রহণে বিচক্ষণতা, সমস্ত সংকটে অবিচল থেকে সেটিকে মোকাবিলা করা, সমস্ত প্রতিবন্ধকতা উপড়ে ফেলে দলকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার নেতৃত্বের ক্ষমতা, দলীয় ঐক্য এবং বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার প্রতি তৃণমূলের নেতা-কর্মীদের অগাধ আস্থা, বিশ্বাস, সমর্থন এবং তাদের মেধা-শ্রম-ঘামের কারণেই বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ পরপর চারবার এবং বঙ্গবন্ধু হত্যাকান্ডের পর পাঁচবার রাষ্ট্রক্ষমতায় এসেছি। পরপর চারবার রাষ্ট্রক্ষমতায় থাকার কারণে কিছু নেতা-কর্মীদের মধ্যে যে আলস্য এসেছে, তা ঝেড়ে ফেলতে হবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, পশ্চিমবাংলায় বামফ্রন্ট ৩৪ বছর ক্ষমতায় ছিল এবং এর সবচেয়ে বড় কারণ, সংগঠন শক্তিশালী ছিল। পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, নির্বাচনের পর বিএনপি-জামাত অপশক্তি ও তাদের সাথে যুক্ত আন্তর্জাতিক চক্র উন্মুখ হয়ে বসেছিল যে সরকার আন্তর্জাতিকভাবে কতটুকু গ্রহণযোগ্য হয়। এ পর্যন্ত ৮১টি দেশের রাষ্ট্রপ্রধান, সরকারপ্রধান, প্রেসিডেন্ট এবং প্রধানমন্ত্রী এবং জাতিসংঘ, কমনওয়েলথ, ওআইসি, ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও কমিশনসহ ৩২টি আন্তর্জাতিক সংস্থা শেখ হাসিনাকে পরপর চতুর্থবার প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হওয়ায়  অভিনন্দন জানিয়েছেন। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট পরপর চতুর্থবার নির্বাচিত  শেখ হাসিনার সরকারের সাথে কাজের অভিপ্রায় ব্যক্ত করে চিঠি লিখেছেন। তিনি বলেন, ‘এতে সেই চক্রের বেলুন ফুস হয়ে গেছে। আর বিএনপিতে এখন “তারেক ভূত আতংক” বিরাজ করছে। দলটির কর্মীরা এখন আতংকে থাকে, সকালবেলা উঠে দেখবে কি না যে পদ চলে গেছে!’ আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য শাহজাহান খান এমপির সভাপতিত্বে বর্ধিত সভায় নৌ পরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, সংসদ সদস্য আসাদুজ্জামান নূর, আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী, কেন্দ্রীয় সদস্য এ্যাডভোকেট হোসনে আরা লুৎফা ডালিয়া, এ্যাডভোকেট সফুরা বেগম রুমি প্রমুখ বক্তব্য দেন।

Share This