উপজেলা নির্বাচনকে ‘ফাঁদ’ মনে করছে বিএনপি
League of Legends released a new update for their hero Vel’Koz. You may need to check this update now.
বিএনপির তৃণমূল পর্যায়ের নেতাদের অনেকে উপজেলা নির্বাচনে অংশ নিতে আগ্রহী বলে খবর পাওয়া যাচ্ছে। তাঁরা কেন্দ্রের সিদ্ধান্তের দিকে তাকিয়ে আছেন। যদিও এই নির্বাচন নিয়ে এখন পর্যন্ত বিএনপির নীতিনির্ধারণী পর্যায়ে কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি।
বিএনপির নেতারা এ নির্বাচনকে দলের জন্য ‘ফাঁদ’ হিসেবে দেখছেন। তাঁরা মনে করছেন, বিএনপিকে এ নির্বাচনে গেলে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে যে বিতর্ক ও প্রশ্ন, সেটা কিছুটা হলেও কমাতে পারবে সরকার। একই সঙ্গে এই প্রচারও শুরু করবে যে সংসদ নির্বাচন না করে বিএনপি ভুল করেছে।
দলটির দায়িত্বশীল নেতারা বলছেন, বিএনপি দলগতভাবে উপজেলা নির্বাচনে অংশ নেবে না, এটি আগে থেকে নীতিগত সিদ্ধান্ত। দলের কেউ স্বতন্ত্রভাবে এই নির্বাচনে অংশ নিলে তাঁর বিরুদ্ধে দল কতটা কঠোর হবে, সেটা এখনো স্পষ্ট নয়। যদিও এরই মধ্যে দলের জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী ৪ মার্চ বগুড়ায় এক কর্মসূচিতে বলেছেন, বিএনপি উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে যাবে না। দলীয় সিদ্ধান্তের বাইরে গিয়ে কেউ নির্বাচনে গেলে তাঁর বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানান তিনি।
উপজেলা নির্বাচন অংশগ্রহণ বা বর্জনের বিষয়ে দলীয়ভাবে এখন পর্যন্ত কোনো ঘোষণা না এলেও রিজভীর এই বক্তব্যকে অনেকে গুরুত্বের সঙ্গে নিচ্ছেন। তাঁরা মনে করছেন, দলের শীর্ষ নেতৃত্ব থেকে কোনো ইঙ্গিত না পেয়ে হঠাৎ করে রিজভী এমন নীতিনির্ধারণী বক্তব্য দেননি।
উপজেলা নির্বাচন নিয়ে বিএনপির স্থায়ী কমিটি, যুগ্ম মহাসচিব ও সাংগঠনিক সম্পাদক পর্যায়ে পাঁচজন নেতার সঙ্গে এই প্রতিবেদকের কথা হয়। তাঁরা এ নির্বাচনকে নানাভাবে মূল্যায়ন করছেন। তাঁদের কেউ কেউ মনে করেন, নেতা-কর্মী ও জনসমর্থন ধরে রাখতে বিএনপির নির্বাচনে যাওয়া উচিত। তবে বেশির ভাগ নেতাই এ নির্বাচনকে বিএনপির জন্য ‘ফাঁদ’ হিসেবে দেখছেন। তাঁরা মনে করেন, দুটি কৌশল থেকে সরকার এবার দলীয় প্রতীকে উপজেলা নির্বাচন না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এর প্রথমটি হচ্ছে, সংসদ নির্বাচন বর্জনকারী বিএনপিকে নির্বাচনে আনা। কারণ, যেকোনোভাবে বিএনপিকে এ নির্বাচনে আনা গেলে তাদের ‘একতরফা’ ও ‘ডামি’ সংসদ নির্বাচন নিয়ে যে বিতর্ক ও প্রশ্ন, সেটি কিছুটা হলেও কমাতে পারবে। তারা দেখাতে পারবে বিএনপি সংসদ নির্বাচন না করে ভুল করেছে।