অভিযোগের এক ঘণ্টার মধ্যে ব্যবস্থা নেবে পুলিশ: ডিএমপি কমিশনার

অভিযোগের এক ঘণ্টার মধ্যে ব্যবস্থা নেবে পুলিশ: ডিএমপি কমিশনার

চাঁদাবাজির জন্য নিত্য পণ্যের দাম বাড়ছে উল্লেখ করে ডিএমপি কমিশনার বলেন, ‘ঢাকাবাসীর সহযোগিতা ছাড়া চাঁদাবাজি বন্ধ করা কঠিন। আপনারা আমাদের সহযোগিতা করুন। চাঁদাবাজির কারণে নিত্য পণ্যের দাম বেড়ে যাচ্ছে। চাঁদাবাজির বিরুদ্ধে সমাজ থেকে প্রতিবাদ গড়ে তুলতে হবে। আপনারা চাঁদা দেবেন না। যারা চাঁদা নিতে আসে, তারা কীভাবে চাঁদা নেয়, সেটা আমরা দেখবো। এ বিষয়ে আমরা কাজ করছি। দ্রুতই আপনারা দেখতে পারবেন।’

জুলাই-আগস্টের ঘটনাকে কেন্দ্র করে সিংহভাগ মামলা আদালতের মাধ্যমে হয়েছে উল্লেখ করে ডিএমপি কমিশনার বলেন, ‘মামলায় অনেকে জড়িত ছিল না। গুটিকয়েক লোক জড়িত ছিল। কিন্তু এখন দেখা যাচ্ছে, মামলার বাদী একশ’ লোকের কাছে গিয়ে টাকা চাচ্ছে। আমরা বলবো, তাদের ভয়ের কিছু নাই, তাদের গ্রেফতার করা হবে না। তদন্তে যাদের বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্টতা পাওয়া যাবে, আমরা শুধু তাদের গ্রেফতার করবো।’

মামলার বাদী ছাড়া পুলিশও এমন কাজ করছে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘মামলা বাণিজ্যে অনেক পুলিশ সদস্যদের নাম পাওয়া গেছে। আমাদের কাছে যাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ এসেছে, আমরা তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়েছি। আমি গতকাল অলরেডি একজনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়েছি।’

ঢাকার ট্রফিক ব্যবস্থাপনার ওপরে জোর দেওয়া হয়েছে জানিয়ে ডিএমপি কমিশনার বলেন, ‘ঢাকার ট্রাফিক ব্যবস্থা বিশৃঙ্খল অবস্থায় আছে। তবে ট্রাফিকে শৃঙ্খলা ফেরাতে ইতোমধ্যে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। এর জন্য নগরবাসীর সহযোগিতা প্রয়োজন। বিগত সরকার অটোরিকশার অনুমতি দেওয়ার কারণেই বাড়ছে অটোর সংখ্যা। অচিরেই এটি কমানো না গেলে ভয়াবহ পরিস্থিতির মুখে পড়তে হবে নগরবাসীকে। এ বিষয়ে সরকারের সঙ্গে কথা বলে ব্যবস্থা নেওয়ার অনুরোধ করেছি।’

তিনি বলেন, ‘ঢাকায় কমবেশি ২ কোটি লোকের বসবাস। পৃথিবীতে এতো ঘনবসির শহর আছে বলে জানা নাই। সীমিত রিসোর্স নিয়ে ২ কোটি লোকের সেবা। পবিত্র দায়িত্ব আমার ওপর ঢাকাবাসীকে নিরাপদ রাখা। আমাদের শহরের রাস্তাঘাট সীমিত। একটি আদর্শ শহরে রাস্তা থাকা উচিৎ ২৫ ভাগ, আমাদের ৭ ভাগ। এমন অবস্থায় অটোরিকশা ও হকাররা ফুটপাত-রাস্তা দখল করে রাখছে। এরূপ অবস্থায় ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা অত্যন্ত জটিল হয়ে পড়েছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘ট্রাফিকের অব্যস্থাপনা থেকে উত্তরনের জন্য যারা রাস্তা ব্যবহার করেন, ট্রাফিক আইন মেনে চলতে হবে। স্কুলের সময় ব্যপক যানজট। যদি বাসা ভাড়া হয়, অন্যত্র বাসা হলে প্রতিষ্ঠানের কাছে ভাড়া নেন। একইভাবে কর্মক্ষেত্র, প্রাইভেট হলে বাসার কাছে আনতে পারেন কিনা। অনেকের গাড়ি ব্যবহার সীমিত হয়ে যাবে। হেঁটে যেতে পারবেন, ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র সহযোগিতায় ট্রাফিক ব্যবস্থাপনায় বড় পরিবর্তন রাখবে।’

ছিনতাইয়ের ঘটনা বেড়েছে উল্লেখ করে ডিএমপি কমিশনার বলেন, ‘নগরবাসীর কাছ থেকে ছিনতাইয়ের অনেক অভিযোগ আসছে। বাসস্ট্যান্ড, রেল স্টেশনে ভোরবেলা যখন যাত্রী নামে. তখন আমার পুলিশ সারা রাত ডিউটি করে নেতিয়ে পড়ি। প্রতিরোধ করতে ডিবি ও থানা পুলিশকে সক্রিয় করেছি যাতে রোধ করা সম্ভব হয়।’

নগরবাসীর সমস্যা ও অভিযোগ শুনতে ডিএমপি সদর দফতরে একটি অভিযোগ সেল খোলা হবে। পাশাপাশি দ্রুতই ওপেন ডে আয়োজন করে নগরবাসী সমস্যা ও পুলিশের সেবার পরামর্শ নেওয়া হবে বলেও জানিয়েছেন ডিএমপি কমিশনার।

Share This