সমস্ত সভ্যতার জন্য ন্যায়বিচার, সমতা ও স্থায়িত্ব নিশ্চিত করার আহ্বান পররাষ্ট্র উপদেষ্টার
বিশ্বে ক্রমবর্ধমান সংঘাত, জলবায়ু পরিবর্তন, ও ঘৃণাজনিত ক্রমবর্ধমান বিভাজনের সাথে লড়াইয়ের এক জটিল সন্ধিক্ষণে ‘শান্তিতে একতাবদ্ধ : আস্থা পুনরুদ্ধার, ভবিষ্যৎ পুনর্গঠন’ প্রতিপাদ্য নিয়ে ২৫-২৭ নভেম্বর এ ফোরাম অনুষ্ঠিত হচ্ছে।
উপদেষ্টা তার বক্তৃতায় শান্তি ও মানবতার প্রতি বাংলাদেশের অটল অঙ্গীকার তুলে ধরে নোবেল বিজয়ী প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূসের থ্রি জিরো রোডম্যাপের আওতায় স্থায়িত্ব উৎসাহিত করতে জাতীয় নিষ্ঠার ওপর জোর দেন, যা শূন্য কার্বন নির্গমন, শূন্য দারির্দ্য ও শূন্য বেকারত্বের কল্পনা করে।
দায়মুক্তির সাথে গাজায় গণহত্যা অব্যাহত থাকার কথা উল্লেখ করে, তিনি সম্প্রীতি, পারস্পরিক শ্রদ্ধা এবং আগামী প্রজন্মের জন্য সহযোগিতার নিরিখে একটি ভবিষ্যৎ নির্মাণে সম্মিলিত প্রচেষ্টার আহ্বান জানান।
ফোরামের সাইডলাইনে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা স্পেনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসে ম্যানুয়েল আলবারেস বুয়েনো, তুরস্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাকান ফিদান ও পর্তুগিজ পররাষ্ট্রমন্ত্রী পাওলো রেঞ্জেলের সঙ্গে বৈঠক করেন।
বৈঠকে বাণিজ্য, অবকাঠামো, রেলপথ ও বিনিয়োগের মতো গুরুত্বপূর্ণ খাতে সহযোগিতা বাড়ানোসহ পারস্পরিক স্বার্থের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা করা হয়।
নেতৃবৃন্দ উচ্চ পর্যায়ের সফর ও সহযোগিতামূলক উদ্যোগের মাধ্যমে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক জোরদার করার ওপরও জোর দেন।
নেতৃবৃন্দ রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে সহায়তা, বাংলাদেশের এলডিসি-উত্তরণ থেকে উদ্ভূত চ্যালেঞ্জ এবং গাজা ও লেবাননে ইসরাইলের আগ্রাসনের কারণে সৃষ্ট ভয়াবহ মানবিক পরিস্থিতিসহ মূল বৈশ্বিক ও আঞ্চলিক সমস্যাবলি নিয়ে আলোচনা করেন।
বৈঠকে আলোচনায় ওঠে আসা চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা এবং শান্তি, নিরাপত্তা ও টেকসই উন্নয়নের জন্য বহুপক্ষীয় প্ল্যাটফর্মে সমন্বিত প্রচেষ্টার প্রয়োজনীয়তার ওপরও জোর দেওয়া হয়।