‘ক্রেতাশূন্য’ নিউমার্কেটে বিক্রেতাদের অলস সময় পার
পঙ্ক্তি ডেস্কঃ
শিক্ষার্থী ও চাকরিপ্রার্থীদের কোটাবিরোধী আন্দোলন ছড়িয়ে পড়েছে সারাদেশে। বিশেষ করে কোটাবিরোধী আন্দোলনের অংশ হিসেবে চলমান ‘বাংলা ব্লকেড’ কর্মসূচিতে কার্যত অচল হয়ে পড়েছে রাজধানী ঢাকা। বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষের সঙ্গে এর প্রভাব পড়েছে রাজধানীর নিউমার্কেট এলাকার ব্যবসায়ীদের ওপর। ক্রেতা সংকটে ভুগছেন এসব মার্কেটের বিক্রেতারা। রাজধানীর সায়েন্সল্যাব মোড় অবরোধ করে রাখেন ঢাকা কলেজ ও ইডেন মহিলা কলেজের শিক্ষার্থীরা। এতে নিউমার্কেট এলাকার যান চলাচল বন্ধ হয়ে পড়ে। বিভিন্ন এলাকার মানুষ চলাচল করতে না পারায় ক্রেতা সংকটে পড়েন নিউমার্কেটের ব্যবসায়ীরা।সরেজমিনে দেখা যায়, ওই এলাকায় যানবাহন প্রবেশ করতে না পারায় লোকসমাগম তেমন একটা নেই। বিভিন্ন গন্তব্যে যারা যাচ্ছেন তারা হেঁটে রাস্তা দিয়ে চলাচল করছেন। লোকজন না থাকায় বিক্রেতারা বসে বসে অলস সময় পার করছেন। বিক্রেতারা বলছেন, এর আগে দুদিন এবং আজ মিলে মোট তিনদিনের অবরোধে ক্রেতার সংখ্যা অনেক কমেছে। বেচাবিক্রি না থাকায় বসে অলস সময় পার করছেন তারা। নিউমার্কেটের ব্যবসায়ী কাইয়ুম বলেন, বিক্রি একেবারেই নেই। গত কয়েকদিন ধরে একই অবস্থা। এভাবে যদি অবরোধ চলতে থাকে আমাদের অনেক ক্ষতি হয়ে যাবে। সায়েন্সল্যাব মোড়ের একটি পাঞ্জাবি দোকানের বিক্রেতা আব্দুস সালাম বলেন, দিনে যেখানে ১০ হাজার টাকা বিক্রি হয়, গত কয়েকদিন সেখানে দিনে দুই হাজার টাকা বিক্রি করাই কষ্টকর। শিক্ষার্থীরা আন্দোলন করছেন, এজন্য মানুষজন আসতে পারছেন না। ক্রেতা একেবারে নেই বললেই চলে। এলিফ্যান্ট রোডের আরেক বিক্রেতা নজির বলেন, রাস্তা বন্ধ, লোকজনও নেই। গত তিনদিনে তেমন বিক্রি হয়নি। এই কদিন লোকসান হচ্ছে। অবরোধ যত দ্রুত তুলে নেবে আমাদের জন্য ততই মঙ্গল। সরকারি চাকরিতে কোটা ব্যবস্থা বাতিল করে ২০১৮ সালে জারি করা পরিপত্র পুনর্বহালের দাবিতে সারাদেশে বেশ কয়েকদিন ধরে আন্দোলন করছেন শিক্ষার্থী ও চাকরিপ্রার্থীরা। বুধবার সকাল থেকেও রাস্তায় নেমেছেন শিক্ষার্থীরা। এদিকে সরকারি চাকরিতে কোটা পদ্ধতি বাতিলের পরিপত্র ‘অবৈধ’ ঘোষণা করে হাইকোর্টের দেওয়া রায়ের ওপর এক মাসের স্থিতাবস্থা দিয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ। ফলে কোটা বাতিল করে ২০১৮ সালে জারি করা পরিপত্রটি বহাল থাকছে বলে জানিয়েছেন আইনজীবীরা। প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগের পাঁচ বিচারপতির বেঞ্চ এ আদেশ দেন।পরে রাষ্ট্রপক্ষের প্রধান আইন কর্মকর্তা অ্যাটর্নি জেনারেল আবু মোহাম্মদ (এএম) আমিন উদ্দিন জানান, আপিল বিভাগ স্থিতাবস্থা বজায় রাখার আদেশ দিয়েছেন। ফলে যা ছিল, তা-ই থাকবে। অর্থাৎ, কোটা বাতিল নিয়ে ২০১৮ সালের পরিপত্র বহাল থাকছে।