ত্যাগের মহিমায় আবার এল ঈদুল আজহা !
মোঃ আরিফুল ইসলাম :
বছর ঘুরে আবার এসেছে ত্যাগের উৎসব ঈদুল আজহা। ধর্মপ্রাণ মুসলমান পশু কোরবানির মাধ্যমে ঘোষণা করবেন আল্লাহর প্রতি তার ভালোবাসা আর আনুগত্য। প্রায় সাড়ে চার হাজার বছর আগে নবী হজরত ইব্রাহিম (আ.) স্বপ্নযোগে আল্লাহর কাছ থেকে আদিষ্ট হন তার প্রিয়তম বস্তু উৎসর্গ করার জন্য। ইব্রাহিম (আ.) এর কাছে সবচেয়ে প্রিয় ছিলেন তার ছোট ছেলে ইসমাইল (আ.)। আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভের জন্য তিনি প্রিয় পুত্রকে কোরবানি দিতে উদ্যত হন। মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামিন হজরত ইব্রাহিম (আ.) ত্যাগের সদিচ্ছায় সন্তুষ্ট হয়ে ইসমাইলের পরিবর্তে একটি দুম্বা কোরবানি কবুল করেন। হজরত ইব্রাহিম (আ.) এর ত্যাগের মহিমার কথা স্মরণ করে বিশ্বব্যাপী মুসলমানরা জিলহজ মাসের ১০ তারিখে আল্লাহ পাকের অনুগ্রহ লাভের আশায় পশু কোরবানি করে থাকেন। আর্থিকভাবে সামর্থ্যবান মুসলিমের জন্য আল্লাহ কোরবানি ওয়াজিব করে দিয়েছেন। এজন্য ধর্মীয় দৃষ্টিকোণ থেকে কোরবানি করাই এ দিনের উত্তম ইবাদত। ত্যাগের মহিমায় উদ্ভাসিত হওয়ার মধ্য দিয়ে মানুষ নিজেকে নৈতিক ও আত্মিকভাবে পরিশীলিত করে। আল্লাহর সন্তুষ্টি কামনা করে সব লোভ-লালসা, হিংসা-বিদ্বেষ, ক্রোধ, স্বার্থপরতা তথা ভেতরের পশুত্বকে ত্যাগের মধ্য দিয়ে আত্মশুদ্ধি লাভের ভেতরেই রয়েছে কোরবানির প্রকৃত তাৎপর্য। সাধারণত উট, গরু, দুম্বা, মহিষ, ছাগল ও ভেড়া এই ছয় রকম পশু দিয়ে কোরবানি করার বিধান রয়েছে। ঈদের জামাত আদায় করে সবাই ব্যস্ত হয়ে পড়বেন পশু কোরবানির জন্য। ঈদের জামাতে ব্যক্তি, সমাজ, দেশ, মুসলিম উম্মাহ এবং সারাবিশ্বের শান্তি ও কল্যাণ কামনা করে দোয়া করা হবে। পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে দেশবাসী এবং মুসলিম উম্মাহকে শুভেচ্ছা ও মোবারকবাদ জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।