This mini wireless keyboard happens to be one of those things. It's only $23 bucks!

ভোটের সময় সব পক্ষের কাছ থেকে তাঁরা টাকা নেন: ইলিয়াস কাঞ্চন

ইলিয়াস কাঞ্চন : সত্যি বলতে, আমি তো আসলে শিল্পী সমিতির নির্বাচন করতেই চাইনি। অনেক অনুরোধের পর আমি সিদ্ধান্ত নিই। সাধারণত আমি যে দায়িত্ব নিই, সেই দায়িত্ব সুষ্ঠুভাবে পালনের চেষ্টা করি। যেমন আমার জীবনে অনেক ছবিতে কাজ করেছি, শুটিংয়ের আগে জেনেছি, এসব ছবি চলবে না। তারপরও সেসব ছবিতে অভিনয় খারাপ করিনি। আমি চিন্তা করতাম, ছবিটা খারাপ হলেও আমার অভিনয় খারাপ হয়েছে, এমনটা যেন কেউ না বলেন। মানুষ হিসেবে আমি আসলে এমনই ভাবনাচিন্তা নিয়ে চলি। আমি কিন্তু এর আগে শিল্পী সমিতির সেক্রেটারি ছিলাম। এই সমিতি প্রতিষ্ঠার পর প্রথম সেক্রেটারি ছিলেন আহমেদ শরীফ, এরপর আমি ছিলাম। সেই সময় নির্বাচন করার জন্য যে কষ্ট করতে হয়েছে, সেটাও ভালো লাগেনি। ভালো লাগেনি বলতে, একটা ভালো অবস্থানে থাকার পরও শিল্পী সমিতির নির্বাচন নিয়ে পরে আর আগ্রহ দেখাইনি। আমি মনে করি যে মানুষ সৎ নাকি অসৎ, ওয়াদা করলে রাখে নাকি রাখে না—এটা কিন্তু সবারই কমবেশি জানা। এই জানাজানির পরও বাড়িতে বাড়িতে গিয়ে ভোট চাওয়ার যে পদ্ধতি, এটা ভালো লাগেনি। সব সময়ই চিন্তা করেছি, শিল্পী সমিতির সদস্য যাঁরা, তাঁরা যেন অবশ্যই পেশাদার ও প্রকৃত শিল্পী হন। কিন্তু শিল্পী সমিতি এবার চালাতে গিয়ে দেখলাম, এখানে মোটেও তা নেই। কারও প্রধান পরিচয় পরিচালক, কিন্তু তিনি অভিনয় করেন। আবার কেউ নাচের, তাঁদের আবার নিজেদের সংগঠনও আছে, কেউ আবার ফাইটার, তাঁদেরও আছে নিজস্ব সংগঠন—এঁদের সবারই শিল্পী পরিচয়টা তাঁর দ্বিতীয়। তাঁরা সবাই শিল্পী সমিতির পূর্ণ সদস্য হয়ে বসে আছেন। অথচ এই শিল্পী সমিতিতে আমাদের সময়ে নিয়ম, ১০ গুরুত্বপূর্ণ ছবির চরিত্রে অভিনয় করলেই সদস্যপদ পাওয়া যাবে। কিন্তু গত কয়েক টার্মে এসব নিয়ম পুরোপুরি পাল্টে গেছে। নিয়ম না মেনে অনেকে সদস্য হয়েছেন। শুধু ভোটের কারণে এমনটা ঘটেছে। তাই এসব নিয়ে সব সময় জটিলতা লেগেই থাকত। চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতিতে ছয় শতাধিক শিল্পী! এটা ভাবা যায়! তা-ও প্রকৃত শিল্পী! সক্রিয় শিল্পী। সত্যি বলতে, এমনটা তো হওয়ার কথা নয়। আমাদেরও নিয়মনীতি আছে। আমাদের শিল্পী সমিতির সঙ্গে অন্য যেসব ব্যাপার আছে, যেমন জুনিয়র শিল্পী, নাচের শিল্পী, ফাইটারদের নিজস্ব সমিতি আছে। তাই তাঁরা আমাদের সমিতিতে সহযোগী হিসেবে থাকতে পারেন। ভোটাধিকার পাবেন না। অথচ দীর্ঘ সময় ধরে এমন অনিয়ম চলছে। প্রকৃত শিল্পী কম থাকায় শিল্পী সমিতিতে ক্ষমতাধর হয়ে উঠেছেন নাচের সমিতি, ফাইটার সমিতির লোকজন। ওঁদের সংখ্যাই বেশি। প্রকৃত শিল্পীরা একরকম মাইনরিটি। এবার নির্বাচন করলাম, এর আগে নির্বাচন কমিশনার ছিল। তখনো আমার কানে এসেছে, শিল্পী সমিতির নির্বাচনে টাকার ছড়াছড়ি হয়। এই নির্বাচনেও টাকার ছড়াছড়ি হয়েছে, আমি তো নিজের চোখে দেখলাম।

Share This