ইসলামী আরবি বিশ্ববিদ্যালয়কে উৎকর্ষের গবেষণা প্রতিষ্ঠান হিসেবে কাজ করতে হবে- মাননীয় শিক্ষামন্ত্রী !
মোঃ আরিফুল ইসলাম:
বর্তমান সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শিক্ষাক্ষেত্রে গতানুগতিক পন্থা থেকে বেরিয়ে এসে সাধারণ শিক্ষার পাশাপাশি ধর্মীয় শিক্ষার উন্নয়নে একশত বছরের আলেম-ওলামাদের দাবিতে ইসলামি আরবি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করেছেন। দেশের সকল প্রান্তিক স্তরের মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠানের সম্মানিত আলেমদের নিয়ে বর্তমান বৈজ্ঞানিক ও প্রযুক্তিগত জীবনধারা নির্মাণে বিভিন্ন চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় ইসলামি আরবি বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি উচ্চতর গবেষণা প্রতিষ্ঠান হিসেবে কাজ করা উচিত। ঢাকার কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে বই পাঠ প্রতিযোগিতা, মেধা বৃত্তি, পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন। বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিক্ষার্থীদের জন্য বৃত্তি এবং ফাজিল ও কামিল মাদ্রাসার অবসরপ্রাপ্ত সম্মানিত অধ্যক্ষদের সংবর্ধনা। এসব কথা বলেছেন শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাননীয় মন্ত্রী জনাব মহিবুল হাসান চৌধুরী। মাননীয় মন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী বলেন, উচ্চ শিক্ষার ক্ষেত্রে ধর্মীয় শিক্ষাকে এগিয়ে নিতে গবেষণার ওপর জোর দিতে হবে। বর্তমান কারিগরি শিক্ষা প্রক্রিয়ার সঙ্গে এগিয়ে যেতে হলে মাদ্রাসা শিক্ষার সঙ্গে জড়িত শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের গবেষণামূলক কাজ করতে হবে। . মাননীয় মন্ত্রী আরো বলেন, কিছু ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান ও গোষ্ঠী তাদের স্বার্থ রক্ষার জন্য ধর্মকে ব্যবহার করতে চায়। যাদের ধর্ম জ্ঞান নেই তারা সমালোচনা করে। পাঠ্যপুস্তকে আলেমরা যেভাবে দ্বীন শিক্ষাকে পরিচালনা করছেন আমরা তা পর্যালোচনা করছি। ধর্মের শিক্ষার সাথে সাংঘর্ষিক বিষয় থেকে বিরত থাকতে হবে। আমাদের মূল লক্ষ্য হওয়া উচিত শিক্ষার্থীদের কর্মমুখী ও কর্মসংস্থানযোগ্য করে তোলা। আমাদের সকলের উচিত শিক্ষার্থীদের দক্ষতাভিত্তিক ও দক্ষতা নির্ভর করা। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ইসলামী আরবি বিশ্ববিদ্যালয়ের মাননীয় উপাচার্য ড. মুহাম্মদ আবদুর রশিদ। রাষ্ট্রপতির বক্তব্যে মাননীয় উপাচার্য ড. মুহাম্মদ আবদুর রশীদ বলেন, যারা মাদ্রাসা থেকে অবসর নিয়েছেন তাদের শিক্ষা শুধু মাদ্রাসার শ্রেণিকক্ষে সীমাবদ্ধ নয়, তাদের শিক্ষা এখন বিশ্বব্যাপী। তারা তাদের অর্জিত ধর্মীয় জ্ঞান সমগ্র বিশ্বে ছড়িয়ে দিয়ে সমগ্র বিশ্বকে সহজেই আলোকিত করতে পারে। মেধাভিত্তিক বৃত্তি ছাড়াও প্রতিবন্ধীদেরও বৃত্তি দেওয়া হয়েছে। বর্তমানে প্রায় সাড়ে তিন লাখ শিক্ষার্থী পড়াশোনা করছে। ইতিমধ্যেই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে দুই লাখ ৫২ হাজার ৬শত নিরানব্বই শিক্ষার্থী ডিগ্রি নিয়েছেন। যারা আসল সার্টিফিকেট পাননি আমরা তাদের মূল সনদ দেওয়ার প্রক্রিয়া হাতে নিয়েছি। খুব শিগগিরই সমাবর্তনের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের মূল সনদপত্র দেওয়া হবে। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশিষ্ট ইসলামী চিন্তাবিদ ও ধর্ম মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটির সভাপতি মাওলানা মোহাম্মদ হুছামুদ্দিন চৌধুরী। অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন ইসলামী আরবি বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার মো. মোহাম্মদ কামরুল ইসলাম। এ উপলক্ষে ইসলামি আরবি বিশ্ববিদ্যালয়ের সম্মানিত সিন্ডিকেট সদস্য ও একাডেমিক কাউন্সিলের সদস্যবৃন্দ, ঢাকা মহানগরীর ফাজিল ও কামিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষবৃন্দ এবং পিতার জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে বই পাঠ প্রতিযোগিতায় বিজয়ী ছাত্র-ছাত্রীবৃন্দ। উপস্থিত ছিলেন জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, মেধাবী বৃত্তি গ্রহীতা, বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন শিক্ষার্থী এবং কামিল মাদ্রাসার ফাজিল ও অবসরপ্রাপ্ত অধ্যক্ষগণ।